লেখকঃ জয় নন্দি
বিস্তারিতঃ ধরেন দূর সম্পর্কের এক খালা বাড়ি যাওয়ার জন্য আপনার ডাক পড়েছে। তাদের বাড়ি তো পুরাই অন্য লেভেলের গ্রামে। আপনি আজকাল কার পাব্লিক, শহরের লোক। কোনোদিন গ্রাম যাননি, দেখেনওনি। আপনাকে যেতে হলো সেই গ্রামে। পৌছাতে পৌছাতে রাত। সামনে মাঠ পড়েছে, তারপর খানিকটা জঙ্গল মতো। মাঠ টা পেরোনোর পরেই দেখলেন জঙ্গলের ভিতর কি জানি জ্বলছে। আপনি ভাবলেন দাবানল লাগলো নাকি! শেষ পর্যন্ত পুড়ে মরতে হবে? কিন্তু আরেকটু কাছে গিয়ে দেখলেন কাহীনি তো কেরোসিন! কোথাও কিছু নাই, হুদাই একটা আগুনের গোল্লা। আপনি বাপ মা আর নিজের নাম ভুলে রাম রাম করতে করতে দিলেন দৌড়!
এবার আসা যাক আসল কথায়। এই হচ্ছে আলেয়া, বিজ্ঞানের গালভরা নাম আরকি। বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গ্রামের চাচাতো ভাই বোন দের পারলে বুঝিয়ে বলবেন, অযৌক্তিক ভয় থেকে মুক্তি পাবে। এর কাহীনি নিতান্তই সহজ কিন্তু ইন্টারেস্টিং।
গ্রাম্য পরিবেশে গাছপালা পচে,পশুপাখির মৃতদেহ পচে সহজেই কিছু গ্যাস সৃষ্টি করে। মূলত ফসফিন(PH3), ডাইফসফিন(P2H4) এবং মিথেন(CH4) এর জারণ বিক্রিয়া ঘটে। ফসফিন এবং ডাইফসফিনের মিশ্রন অক্সিজেন পেলেই জ্বলে ওঠে। তাই ওই মিশ্রন কোনোভাবে তৈরি হলে তা দ্বারা হঠাৎই মাটির কিছুটা উপরে অক্সিজেনের স্পর্শে আগুন ধরে ওঠে। স্বল্প পরিমাণ মিশ্রনও আগুন ধরানোর জন্য যথেষ্ট। আগুনের ফুলকির জন্য জঙ্গলে-মাঠে পড়ে থাকা বাশ, শুকনা কাঠের ঘর্ষণেই কাজ চলে যায়। এছাড়া অন্য কিছু মত আছে বৈকি। তবে এইটাই আমার কাছে বেশি ভাল্লাগলো। তাই আপনাদের জানালুম।
এরপর এমন আগুন দেখলে দূরে দাঁড়িয়ে থেকে দুইটা ছবি তুলে "মাই ডে" তে দিয়েন। প্রকৃতির মজ মাস্তি সে করুকগা।
আপাতত বিদায়।