Near field communication (NFC) হলো অনেকটা নতুন এবং স্বল্প দূরত্বের তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য NFC সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে সহজে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। এটা Sony এবং NXP Semiconductor যৌথভাবে তৈরী করেছে।
NFC -কে ডিজাইন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের তথ্য আদান-প্রদান করা জন্য, যেমন, মোবাইল নম্বর, ছবি, গান বা দুই ডিভাইসের মধ্যে সংযোগে ডিজিটালি অনুমোদন বা REID কার্ডের সাথে সংযোগ প্রদানে। NFC এর মাধ্যমে এছাড়াও ক্যাশলেস পেমেন্ট, টিকিট কেনা এবং কোনো ডিভাইসের এক্সেস কন্ট্রোল করা যায়।
NFC মূলত Radio frequency identification (RFID) এর আধুনিক পদ্ধতি। কাজের পদ্ধতির মিল থাকলেও, RFID মূলত একমূখী প্রযুক্তি। সেখানে NFC তথ্য আদান প্রদান দুটোই করতে সক্ষম।
NFC এর ডেটা ট্রান্সমিশন:
RFID স্ট্যান্ডার্ডের মতো সুক্ষ সংযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একটা ট্রান্সফরমারের মতোই, স্বল্প-ক্ষেত্রের দুটি চৌম্বকীয় কন্ডাক্টর কয়েল ব্যবহৃত হয়
প্রেরণকারী ডিভাইস (Polling device) এবং গ্রহণকারী ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে।
NFC মূলত 13.56 MHz রেন্জের কম্পাঙ্কে কাজ করে যেখানে ১০ সে.মি. দূরত্বের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশন সেকেন্ডে 424 kbit হয়। মাত্র ০.১ সেকেন্ডে দুটো ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ প্রদানে সক্ষম।
ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে পুরোটাই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের মাধ্যমে হয়। এর গতি Bluetooth এর চেয়ে কম হলেও, মাধ্যম হিসেবে অনেক সুরক্ষিত।
কাজের ওপর ভিত্তি করে NFC মূলত তিন মুডে অপারেট করে-
Card emulation mode (passive mode):
এই মুডে কাজ করার সময়, পোলিং ডিভাইসের প্রেরণ করা 13.56 MHz কম্পাঙ্ক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এই শক্তিকে কাজি লাগিয়ে আমার পোলিং ডিভাইসে ডেটা প্রেরণ করে। অর্থাৎ Passive মাধ্যমের নিজস্ব শক্তি উৎপন্নের ক্ষমতা থাকে না।
Peer-to-peer Mode:
এই মুডে দুটো NFC ডিভাইস তথ্য আদান প্রদান করে। পোলিং ডিভাইসের কম পাওয়ার খরচ হয় কারণ গ্রহণকারী ডিভাইসেরও নিজস্ব শক্তি উৎপাদন মাধ্যম আছে। তবে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য Amplitude Shift Keying (ASK) মুড ব্যবহার করা হয়, যেখানে রিভিসার তার ফিল্ড বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ডেটা রেট বেশি হয় এবং এলটু বেশি দূরত্বেও সমস্যা হয় না।
Reader/writer Mode (active mode):
এখানে NFC ডিভাইস একটিভ থাকে এবং RFID ট্যাগে ডেটা রিড বা রাইট করে।
NFC বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। মোবাইলে করা যায় এমন কয়েকটি কাজ নিয়ে আলোচনা করা হলো-
ডেটা ট্রান্সফার:
দুইটি NFC যুক্ত মোবাইলে সহজে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। শুধু মোবাইল কাছাকাছি আনার সাথে সাথে ডেটা ট্রান্সফার অপশন শো করবে এবং ব্লুটুথের মতো কোনো প্রকার পেয়ারিং বাদেই ডেটা ট্রান্সফার করবে।
ডিভাইস পেয়ারিং:
ব্লুটুথ বা অন্য ওয়্যারলেস ডিভাইসে শুধু NFC মোবাইল টাচ করলেই একাই ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। ব্লুটুথের মতো দীর্ঘ প্রসেসের কোনো দরকার নেই।
পেমেন্ট:
Samsung pay বা google pay মূলত NFC -তে কাজ করে। অনেক দোকানে কার্ডের টার্মিনালে NFC সুবিধা থাকে। যদি ফোনে কার্ডের ডিটেইলস সেভ করা থাকে তবে কাছাকাছি নিয়ে কার্ড সিলেক্ট করল টাচ করলেই পেমেন্ট সম্পন্ন হবে।
NFC TAG:
এই ট্যাগ কার্ডগুলোতে অল্প পরিমাণে ডেটা স্টোর করা যায়। এগুলো সহজে কনফিগার করা যায় এবং কনট্রাক্ট ইনফরমেশন, মোবাইল ডিটেইলস বা ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ডের মতো বিষয় সেভ করা যায়। শুধু NFC অন করলে ট্যাগগুলোর কাছে ধরলেই এর থেকে ডেটা পাওয়া সম্ভব।
NFC visiting card:
সাধারন কার্ডে তথ্য আলাদা আলাদা দেওয়া থাকে। NFC ভিজিটিং কার্ডে একটা ছোটো ট্যাগ থাকে। আর মোবাইলে NFC অন করে কার্ডের কাছে ধরলেই, নম্বর, মেইল, সাইট সহ বিভিন্ন তথ্য ফোনে আসবে এবং সেভ করা যাবে।
:
1. NFC এর সম্পর্কে বিস্তারিত PDF- ডাউনলোড
2.https://www.dummies.com/consumer-electronics/nfc-communication-modes/
3.https://www.nextpit.com/what-is-nfc?amp=true
4https://m.gsmarena.com/glossary.php3?term=nfc
5রওনক শাহরিয়ার,
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান