Ads Area

advertise

How to google

0

মুস্তফা কামাল জাবেদ



Dedicated to those who are too lazy to google!
গুগল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর একটা। যে-কোনো টাইপ ইনফরমেশন বের করার জন্য এই 'নিষ্পাপ' সার্চ ইঞ্জিনের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সেই ইনফরমেশন বের করতে গিয়েও অনেকে অনেকরকম গোলকধাঁধায় পড়েন, কেউবা আবার অলসতার বেড়াজাল ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে বিফল হন:3 আজকের আর্টিকেলটা তাদেরই জন্য।
তো দেখা যাক কীভাবে এই সহজ সরল মামুর 'খোঁজ দ্য সার্চ' অপশনকে কাজে লাগিয়ে হাজারটা ইনফরমেশন নিজের বাগে আনা যায়।

ধাপ ১:
এই ধাপটা সবচেয়ে জটিল! ব্রাউজার অপেন করবেন তারপর URL এর জায়গায় www.google.com লিখবেন, প্রথম ধাপ ডান। Congratulations!

ধাপ ২:
এইবার আপনার যে বিষয়টি নিয়ে জানতে চান সার্চবারে সেটা লিখে এন্টার/সার্চ বাটনে আলতো করে চাপ দিবেন। (জোরে চাপ দিলে মোবাইল/কী-বোর্ড ব্যাথা পেতে পারে!)
বাংলায় সার্চ করবেন না কি ইংরেজিতে?
সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন ইংরেজিতে করার। কেন?
কারণ বাংলায় রিসোর্স খুব খুব কম। যতদিন না আমরা আমাদের ভাষায় পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করছি ততদিন ইংরেজিই ফলো করতে হবে।
এইখানে একটা পয়েন্ট, বাংলায় অনেক রিসোর্স তৈরি করলে কি আর ইংরেজি লাগবে না? অবভিয়াসলি লাগবে, ইংরেজির হাজারটা বই, আর্টিকেল আর রিসার্চ পেপার এইসব সবসময়ই অ্যাক্সেস করতে হবে। আর আমেরিকান একজন বিজ্ঞানী নিশ্চয়ই বাংলায় রিসার্চ পেপার পাবলিশ করবেন না! 

ধাপ ৩:
মামু তো নিজের গাট্টি-বোঁচকা থেকে হাজারটা ইনফরমেশন বের করে দিল, এইবার আপনার কাজ মাছের যেমন কাঁটা বেছে খাওয়া হয় ওইরকম রিলায়েবল ইনফরমেশন বেছে বেছে গলাধঃকরণ করা। ধরা যাক আপনি কোষ সম্পর্কে জানতে চান, কোষ এর ইংরেজি যেন কী?
ওহ হ্যাঁ, মনে পড়েছে, cell। cell লিখে গুগল করা পর আপনার সামনে উইকিপিডিয়া, ব্রিটানিকা, মেডিকেল নিউজ, ন্যাট জিও, ন্যাচার এই টাইপ অনেকগুলো সাইট আর খান একাডেমি, বাইজুসের মতো ভিডিয়ো আসবে। ভাগ্য ভালো থাকলে গুগল মামা শব্দের সংজ্ঞা, উচ্চারণ সহ আরো অনেককিছু প্যাক করে দিতে পারে।
উইকিপিডিয়ার কথায় মনে পড়ল, এই বেচারাও গুগলের মতো সাদাসিধা। অপেন সোর্স তো, দুনিয়ার হাজারটা মানুষের স্বেচ্ছাসেবায় উনি এতটুকু হয়েছেন। তাই কদাচিৎ দুয়েকটা ভুল কিংবা ইনফরমেশনের ঘাটতি চোখে পড়লে ব্লেইম না করে ভালোবাসার সাথে অবদান রাখবেন। সবার একটুখানি কন্ট্রিবিউশনে নিষ্পাপ বাচ্চাটা অনেএএএক বড়ো হয়ে যাবে। 

অকাজের কথায় আসা যাক, প্রথমেই করবেন কী ট্রাস্টেড সাইটগুলো থেকে আর্টিকেলখানা ভালো মতো পড়ে নিবেন, ভিজুয়ালাইজেশনের প্রয়োজন হলে দেখে নিবেন ভিডিয়ো। দুইটাই কিন্তু করতে হবে ট্রাস্টেড জায়গা থেকে, আর্টিকেল পড়তে গিয়ে যদি 'জনৈক কন্ঠ' আর ভিডিয়ো দেখার সময় যদি 'জনৈক অনুভূতির জাল' এর আশ্রয় নেন তাহলে আপনার চাঁদে যাওয়া স্বয়ং মাস্ক সাহেবও আটকাতে পারবে না!
ট্রাস্টেড কিছু সাইট আর চ্যানেল জনকল্যাণার্থে দিয়ে দিচ্ছি,

আর্টিকেল

জেনারেল টপিক:

প্রশ্ন-উত্তর:
এক্ষেত্রে উন্মুক্ত সাইট হওয়ায় আমিও একটা ভুল উত্তর দিয়ে আসতে পারি তাই আপনাকে বুঝে-শুনে আগাতে হবে।

চ্যানেল

পড়তে/দেখতে গিয়ে যদি কোনো শব্দ না বোঝেন তখন কী করবেন?
সিম্পল, ওই শব্দে কপি করে ডিকশনারি দেখবেন। ডিকশনারির জগতে Merriam Webster হলো গ্যাংস্টারের মতো, ওইখানে দেখবেন। তাছাড়া গুগলের ট্রান্সলেট অপশনও ইউজ করতে পারেন, যদিও বেচারা প্রায়ই আবোল-তাবোল বকে। এইসবের পরও না বুঝলে ওয়ার্ডে ট্যাপ করে Search Wikipedia অথবা Web Search করতে পারেন।
এই ধাপের পর যদি আপনার ক্ষুধা পুরোপুরি না মিটে তাহলে ৫ এ লাফ দিতে পারেন।

ধাপ ৪:
আর্টিকেল/বই পড়ার পর আপনার ওই বিষয়ে মোটামুটি একটা ভালোই ধারণা হয়ে যাবে। এইবার সময় হলো রিসার্চ পেপারে ঝাঁপ দেওয়ার।
খেলাধুলার জন্য যেমন ম্যাগাজিন আছে, ফ্যাশনের জন্য যেমন ম্যাগাজিন আছে তেমনি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কাজকে প্রকাশ করার জন্যও এক ধরনের ম্যাগাজিন আছে, এটাকে বলে জার্নাল। আর যে ছার্নালে প্রবন্ধ পাঠালে অন্য বিজ্ঞানীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই কাজটাকে জাজ করেন সেসব জার্নালকে বলা হয় পিয়ার 'রিভিউড জার্নাল' (পিয়ার=সমকক্ষ)। আর রিসার্চ পেপারের ক্ষেত্রে এইগুলোই হলো সবচেয়ে ট্রাস্টেড।
একটা কথা, রিসার্চ পেপার তো আর মাগনা পড়তে পারবেন না, তাহলে উপায়? আছে বৈকি, কিছু স্পেসিফিক ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে এসব ডাকাতি করা যায়, নিচে দিয়ে দিব।
আপাতত টপ কিছু জার্নাল দেখা যাক,

রিসার্চ পেপার ডাকাতি করার সাইট:

ধাপ ৫:
কোনো বিষয় সম্পর্কে ডিপলি জানতে চাইলে আপনাকে যা করতে হবে সেটা হলো বই পড়া অথবা কোর্স করা।
কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে রাজ্যের বই ফ্রিতে পাওয়া যায়, তেমনি কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে হাজারটা কোর্স ফ্রিতে করা যায়। দেখা যাক সেগুলো কী কী,

বই

কোর্স

যারা আগে লাফ দিয়ে এসেছেন তারা আবার ৪ এ যান। 
আমরা কেউই সবজান্তা সমীপেষু নই। হাজারটা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘোরপাক খায়। আমরা কৌতূহলী হই, চিন্তা করি; এইসবের কারণেই আজ আমরা সভ্যতার নৌকায় পাড়ি দিয়ে এতদূর আসতে পেরেছি। তাই জানার আগ্রহকে কখনোই দমিয়ে রাখা উচিত না। কিন্তু হুট করে কিছু জানতে চাওয়ার আগে সেটা নিয়ে নিজে কাজ করতে হবে। আমি কারো কাছে টাকা ধার চাইতেই পারি কিন্তু সে যদি সেটা না দিয়ে আমাকে টাকা উপার্জন করাটাই শিখিয়ে দেয় তাহলে সেটা হবে বেস্ট আর এই জার্নিটা হবে আরো বেশি সুন্দর আর রোমাঞ্চকর!

It's okay not to be perfectionist!

সমাপ্ত

মুস্তফা কামাল জাবেদ,
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Top Post Ad

Below Post Ad

advertise