লেখক : ধ্রুব নাথ
বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে পাইথন একটি জনপ্রিয় ল্যাংগুয়েজ।Stack Overflow Survey 2020 অনুযায়ী সারা বিশ্বে মোস্ট পপুলার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর তালিকায় জাভাকে(৪০.২%) ফেলে দিয়ে ৪ নাম্বার এ আছে পাইথন(৪৪.১%)।তাছাড়া সর্বশেষ TIOBE index আমাদের দেখায় এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সার্চকৃত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর তালিকায় পাইথন(১১.৭৩%) রয়েছে তৃত্বীয় স্থানে এবং গত বছর(২০২০) এর বৃদ্ধি ছিল অন্যান্য ল্যাংগুয়েজ এর তুলনায় সবচেয়ে বেশি(২.০১%).SlashData এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে বলাই যায় বর্তমানে সমগ্র বিশ্বব্যাপী পাইথন ডেভেলপার এর সংখ্যা ৯০ লাখেরও বেশি।
সোর্স: Stackoverflow , Tiobe
কিন্তু এর জনপ্রিয়তা বা এর বৃদ্ধির মূল কারণটা কি?কারণ হিসেবে বলা যায় এটি একটি - হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (অর্থাৎ মানুষ, মেশিন থেকেও দ্রুত এটি বুঝতে সক্ষম),সহজবোধ্য (বিশেষ করে বিগিনার ফ্রেন্ডলি),ইন্টারপ্রেটেড ল্যাংগুয়েজ, প্রচুর লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক আছে এতে,এটি ওপেনসোর্সেস, অবজেক্ট অরিয়েন্টেড তাছাড়া মাল্টি ইউজড ল্যাংগুয়েজ।
পাইথন কোথায় ব্যবহৃত হয়ঃ
পাইথনের ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলো অন্যান্য ল্যাংগুয়েজ থেকে তুলনামূলক বেশি। প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বলা যায় - ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এনালাইসিস, মেশিন লার্নিং,ডেবওপ্স,ডেক্সটপ ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার গ্রাফিক্স, গেম ও মোবাইল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট : বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ জাভাস্ক্রিপ্ট এর পাশাপাশি পাইথনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর পরিসংখ্যান থেকে বলা যায় গত বছরে(২০২০) পাইথন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল ওয়েব ডেভেলপমেন্টে। পাইথনের রয়েছে জনপ্রিয় বেশকিছু ফ্রেমওয়ার্ক যেমন- Django,Flask, web2.py, Tornado. এই ফ্রেমওয়ার্ক গুলো ডেভেলপমেন্টকে করেছে আরো সহজ এবং সুগঠিত। যার কারণে এই ফিল্ডে পাইথনের ব্যবহার দিনকে দিন বাড়ছে।বিশেষ করে জ্যাঙ্গোর কথা বলা যায়।জাঙ্গো ব্যবহার করে তৈরি The New york Times, The Guardian, Pinerest এর মতো বিভিন্ন সাইট রয়েছে।
মেশিনং লার্নিং : এ ফিল্ডে কন্টিনিউয়াসলি ডাটা নিয়ে কাজ করতে হয় আর পাইথনের লাইব্রেরি গুলো আপনাকে সহজে ডাটা এক্সেস, হ্যান্ডেল এবং ট্রান্সফ্রম করার সুবিধা দিবে।যেমন ক্লাস্টারিং এবং রিগ্রেশন এর জন্য রয়েছে Scikit-learn,ইমেজ প্রসেসিং এর জন্য রয়েছে scikit-image,ডিপ লার্নিং এর সাথে কাজ করার জন্য রয়েছে Tensorflow,দ্রুত ক্যালকুলেশন ও প্রটোটাইপিং এর জন্য keras, ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ রিকগনিশন ও প্রসেসিং এর জন্য রয়েছে NLTK সহ ইত্যাদি লাইব্রেরি। এছাড়া DevOps, Software testing, prototyping,Computer graphics, Dextop, Game এবং Mobile development করা যায় পাইথনের বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে।
আইএলআরএম, গুগল, ইনস্ট্রাগ্রাম,নেটফিক্স,রেডডিট, ফেসবুক সহ ছোট বড় আরো কোম্পানি তাদের ডেভেলপমেন্টে পাইথন ব্যবহার করে আসছে।এবং ভবিষ্যতে এর ডেভেলপার এর চাহিদাও বাড়ছে।এ থেকে কি ধারণা করা যায় আগামী কয়েক বছরে পাইথন মোস্ট পপুলার ল্যাংগুয়েজ এ পরিণত হবে??