মাহতাব মাহদী
ইনফার্টিলিটি (infertility):
কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয়।
সব প্রজাতিই তার বংশধর রেখে যেতে চায়। মানুষ যেমন সন্তানের জন্ম দেয়, তেমন অন্যান্য প্রজাতিও দেয়। তবে, অনেক সময় তারা সন্তান জন্মদিতে সক্ষম হয়না। কেন হয়না, কি কারণ , কি করা উচিত তা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মানুষের ইনফার্টিলিটি নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না বা সক্ষম না। ইংরেজিতে একে বলা হয় , infertility বাংলায় বন্ধ্যাত্বতা। আমাদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই আছেন। শুধু আমেরিকাতেই ১০ - ১৫ % ( ১৫-৪৪ বছরের) দম্পত্বি বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল। বাংলাদেশে একেবারে সিরিয়াস ভাবে সেরকম কেস স্ট্যাডি না হলেও, অনেকগুলো রিসার্চ এ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বন্ধ্যাত্বতার রেট ৬% এর মত। পাশের দেশে ৭.৭% এর মতো। সংখ্যাটা বিশাল। তো ইনফার্টিলিটি আসলে কী?
“ যদি টানা এক বছর frequent, unprotected sex করার পরেও যদি কোন কাপল প্রেগনেন্ট না হন , তবে সেই কাপলটি ইনফার্টাইল”।
ইনফার্টিলিটি হতে পারে দুইজনের একজনের কারণে অথবা দুইজনের কারণেই। রেশিওটা প্রায় ১ঃ১। মানে পুরুষ বা নারীর দুইজনেরই সমস্যা থাকতে পারে। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহারে এখন এই ইনফার্টিলির সমস্যা সমাধানের বেশ কিছু পদ্ধতি বের করা সম্ভব হয়েছে। তবে হ্যাঁ, বয়স বাড়লে ইনফার্টিলিটি ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ৩০ এর পরের মহিলারা আস্তে আস্তে তাদের ফার্টিলিটি হারাতে থাকে।
কেউ কিভাবে বুঝবেন যে তিনি ইনফার্টাইল? খুব সিম্পল, যখন দেখা যাচ্ছে আমাদের ইনফার্টাইলের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১ বছর পরের প্রেগনেন্ট হচ্ছেন না। এটা ছাড়া মূলত ইনফার্টিলিটি বোঝার স্পষ্ট কোন উপায় নেই। তবে নারীর ইনফার্টিলিটি হলে ঘন ঘন বা মাঝে মাঝেই এবনর্মাল পিরিয়ড হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যা হতে পারে। যেমন চুল গজানোর সমস্যা বা সেক্সুয়াল ফাংশনে সমস্যা।
এখন কথা হচ্ছে, কলিকাতা হারবাল বা ইত্যাদি ইত্যাদি যে এড গুলো আমরা দেখি এগুলো আসলে কাজ করে কি না? উত্তরঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই না! কারণ এই যে আমরা ৬% ইনফার্টাইল মানুষদের দেখলাম, তাদের ৮০%+ মানুষই সন্তান নিতে সক্ষম হতে পারেন ট্রিটমেন্ট নিয়ে অথবা ট্রিটমেন্ট ছাড়াই!
এখন কিভাবে সমস্যা গুলো দূর করা যায় তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। WHO বলে, নিচের সিম্পটমস গুলো দেখা গেলে আপনি ইনফার্টিলির ট্রিটমেন্টের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেনঃ
- যদি ঘন ঘন এবনর্মাল পিরিয়ড হয়।
- ৩৫ বছরের কম বয়স এবং ৬ মাস চেষ্টার পরেও অসফল
- ৪০ বছরের বেশি কিন্তু সন্তান নিতে চান।
- পিরিয়ডে প্রচন্ড ব্যাথা হয়
- একের অধিক এবর্সন বা গর্ভপাত হয়েছে।
- পেলভিসজনিত বা জরায়ু জনিত সমস্যায় আগে ভুগেছেন।
- ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়েছেন।
ছেলেদের ক্ষেত্রে -
- স্পার্ম কাউন্ট অনেক কম।
- prostate বা টেস্টিকুলার সমস্যায় ভুগেছেন।
- ছোট অণ্ডকোষ বা অণ্ডকোষে ফোলাভাব
- ফ্যামিলির কারো এই সমস্যা আছে বা ছিল।
- ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন।
এই সমস্যাগুলো থাকলে আর টানা এক বছর চেষ্টার পরেও কনসিভ না করলে কেউ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
আচ্ছা এত জিনিস ব্যাখ্যা করলাম, এখন আসি কারণে, কী কারণে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে?
সোজা ভাষায়, ইনফার্টিলিটি মেন ফার্টিলাইজেশন না হওয়া। ফার্টিলাইজেশন প্রেগনেন্ট হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক। ইনফার্টিলি এই ফার্টিলাইজেশন হতে দেয়না।
ইনফার্টিলির জন্য শুধুমাত্র নারীকে দোষারোপ করা উচিত না।
ইনফার্টিলির:
৩৩.৩৩% এর জন্য দায়ী নারী
৩৩.৩৩% এর জন্য দায়ী পুরুষ
৩৩.৩৩% এর জন্য দায়ী উভয়েই
নারীর বন্ধ্যা হওয়ার কারণঃ
১) বয়সঃ
বয়স যত বাড়বে, ফার্টিলিটির রেট ততই কমে। ১৫ বছর থেকে শুরু করে ৩০ পর্যন্ত ফার্টিলিটির পরিমান একই থাকলেও ৩০ পার করলেই এটা কমতে থাকে। ৩৫ এর পর খুব বেশি করে কমতে থাকে।
২) ডিম্বাশয় জনিত/ ওভারি জনিত সমস্যাঃ
- যেসব সমস্যা ডিম্বানুকে ক্ষরণ হতে বাধা দেয় তারা এর অন্তর্ভূক্ত। এর মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের মতো হরমোনজনিত ব্যাধি অন্তর্ভুক্ত। এটা হল অনিয়মিত, অনিয়মিত বা দীর্ঘকালীন মাসিক জনিত সমস্যা।
- হাইপার প্রোলেক্টেমিয়া অর্থাৎ প্রলেকটিন হরমোন বেশি ক্ষরণ। প্রোলেকটিন হরমোন মায়ের বুকের দুধ ক্ষরণে সাহায্য করে।এটা ডিম্বানু ক্ষরণেও ভূমিকা রাখে।
- হাইপার থাইরোয়েডিজম ( থাইরয়েডের ক্ষরণ বেশি হওয়া) ডিম্বানুর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখে। এটা বন্ধ্যান্বের কারণ হতে পারে।
- জরায়ুর/পেলভিস টিউমার।
- কঠোর অনুশীলন/আঘাত/অতিরিক্ত খাওয়া ও এই সমস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩) জরায়ুর অস্বাভাবিকতাঃ
- জরায়ুর প্রাচীরে টিউমার/পলিপস: এরা ফেলোপেন টিউবে ব্লকেজ ঘটায়।
- ফেলোপেন টিউবে ব্লকেজ: ফেলোপেন টিউবে বাধা থাকলে ডিম্বানু এটা পার হয়ে যেতে পারে না। ফলে ফার্টিলিটি সম্ভব হয়না। ( যারা টার্মগুলো বুঝছেন না তা তারা চিত্র ৩ এ দেখতে পারেন)
- Endometriosis (এন্ডোমেট্রিওসিস): এন্ডোডার্মিস বা ভেতরের প্রাচীরের টিস্যুগুলো যদি বড়ো হতে হতে ওভারির বাইরে চলে যায় তখন এই সমস্যা হয়। এটা ওভারি , জরায়ু বা ফেলোপেন টিউবে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
৪) ডিম্বের পরিমান কম থাকা (সমসয়ের আগে মনোপোজ):
যদি ডিম্বাশয় স্বাভাবিকের চাইতে কম কাজ করে বা ঋতুস্রাব ৪০ এর আগেই বন্ধ হয়ে যায় তখন এই সমস্যা হয়। এর প্রকৃত কারণ জানা নেই তবে জেনেটিক, কেমোথেরাপি ও এক্স রে এর প্রভাব এদের কারণ।
৫) পেলভিক ইনফেকশন ও ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টঃ পেলভিক ইনফেকশন নারীর বন্ধ্যাত্বতার একটা কারণ। এর সাথে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট এর জন্য নারী বন্ধ্যা হতে পারেন।
তো মূলত এগুলো ছিল নারীর বন্ধ্যাত্বতার কারণ। এখন চলুন পুরুষের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো দেখে নেই।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বতার কারণ:
১) কম অথবা অস্বাভাবিক স্পার্ম থাকা:
ফার্টিলাইজেশনের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমান স্পার্ম কাউন্ট থাকা জরুরি , নাহয় ফার্টিলাইজেশন সম্পন্ন হয়না। অস্বাভাবিক স্পার্ম ৩ ধরনের হয়, সেটা আপাতত এই আর্টিকেলে বর্ননা দিচ্ছি না। 20 million sperm per milliliter হল নূন্যতম দরকার স্পার্ম এর পরিমান। আবার, স্পার্ম এর কোয়ালিটি ভালো না হলেও ফার্টিলাইজেশন হয়না।স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারেঃ
- অন্ডকোষের জিনগত ত্রুটি
- মাত্রা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন
- ডায়বেটিস , হাইপারটেনশনের মত সমস্যা
- গনোরিয়া, HIV বা বিভিন্ন ধরণের ইনফেকশন
- টেস্টিসের বর্ধিত শিরাগুলো ( vain) মাঝে মাঝে প্রভাব ফেলতে পারে।
২) বীর্যপাতে সমস্যা:
- অসময়ে বীর্যপাত বা মাত্রা অতিরিক্ত বীর্যপাত ঘটানো।
- টেস্টিসের গঠনে সমস্যা থাকা
- সিস্টিক ফাইব্রোসিস বা এরকম জিনগত সমস্যা থাকা (সিস্টিক ফাইব্রোসিসি নিয়ে বিস্তারিত লেখব)।
- অন্ডোকোষে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া।
৩) পরিবেশগত প্রভাব:
- গরম পানি বা গরম কিছু স্পার্মের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত গরম পানি অন্ডকোষের ক্ষতি করে স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে।
- এলকোহল , গাজা, সিগারেট , স্টেরড জাতীয় ঔষধ সেবন করলে তা স্পার্ম কাউন্টে প্রভাব ফেলে।
- বিভিন্ন ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া, কিটনাশক বা রাসয়নিকের পার্শপ্রতিক্রিয়া।
- ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রামন , অতিরিক্ত ঘুমের ও হতাশানাশক ঔষধ সেবন ও পুরুষ বন্ধ্যাত্বতার কারণ হতে পারে।
৪) ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টঃ
ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট এর জন্য পুরুষ বন্ধ্যা হতে পারেন। বা ক্যান্সারে ভুগে কেউ সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা হারাতে পারেন।
তো এই কারণগুলোই মূলত নারী ও পুরুষ বন্ধ্যাত্বতার মূল কারণ । এগুলো প্রতিরোধের জন্য বেশ কিছু কমন উদ্যোগ নেয়া যায়। যেমনঃ
- কিশোরীদের মাসিকের সময় ব্যথা হলে অবহেলা না করে অবশ্যই একজন গাইনোকলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
- বিবাহিত মেয়েদের সন্তান নিতে খুব বেশি দেরি না করা।
- সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে হলে স্বাভাবিক ওজন এবং নিরোগ শরীর থাকাটা জরুরি। অতিরিক্ত বেশি বা অস্বাভাবিক কম ওজন সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে ডায়েট মেনে পুষ্টিকর খাবার খান।
- অতিরিক্ত তেলেভাজা বা মশলাদার খাবার-দাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভাল। কৃত্রিম রং ও গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
- মৌসুমি ফল বা সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। পেয়ারা, আপেল, আঙুর, কমলা, আম, তরমুজ ইত্যাদি আর বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়স, কুমড়া ইত্যাদি সবজিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই নিয়মিত এসব ফল আর সবজি খাওয়া জরুরি।
- পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে আমন্ড বাদাম অত্যন্ত কার্যকরী। সকালের খাবারে অন্তত গোটা চার-পাঁচটা আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
- ভিটামিন-ই মহিলা ও পুরুষ উভয়েরই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। দই, ইস্ট ইত্যাদি খাবারে রয়েছে এই ভিটামিন। চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন-ই ওষুধও খেতে পারেন।
এরকম আরো অনেক জিনিস মেনে চলে বন্ধ্যাত্বতার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। বিস্তারিত লেখছি না, পড়ে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/lzkqa2
আচ্ছা প্রতিরোধের ব্যাপারে তো জানলাম, এখন ধরা যায় কারো ইনফার্টিলিটি আছে, সে কি সন্তান জন্মদানে সক্ষম হবে না? হতে পারেন, এজন্য বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট করা হয়, সে বিষয়ে ছোট্ট করে বর্ননা দিচ্ছি, বিস্তারিত দেখে নিন কমেন্ট সেকশনে দেওয়া আর্টিকেল থেকে।
১) Intrauterine insemination (IUI):
এটা ইফেক্টিভ ও অনেক করা হয়। মূলত এটার পদ্ধতি হচ্ছে, পুরুষের কাছ থেকে স্পার্ম নিয়ে সরাসরি নারীর জরায়ুতে স্থাপন করা ।
এই পদ্ধতিতে নারীর গর্ভধারণের চান্স ৮০% এর মতো বেড়ে যায়।
২) Ovulation Induction (OI):
এটা হচ্ছে মূলত ওভারিকে উদ্দীপ্ত করার প্রক্রিয়া যা মূলত বিভিন্ন ধরণের ড্রাগস দিয়ে করা হয়। যেমন: FSH , Clomiphene অথবা Clomid ট্যাবলেট ।
৩) Hysterosalpingography:
এটা হচ্ছে মূলত স্পার্ম জরায়ুতে পৌছানোর আরো একটা উপায়। এটা মূলত একটা এক্স রে যা প্রকাশ করে যে স্পার্ম জরায়ুতে পৌছানোর কোন বাধা আছে কি না বা ফেলোপিয়ান টিউব থেকে তরলগুলো ছড়িয়ে পড়ছে কি না এবং পরে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হয়।
৪) স্পার্ম এনালাইসিস ও জেনেটিক এনালাইসিসঃ
এই পরীক্ষায় দেখা হয় স্পার্ম কাউন্ট স্বাভাবিক কিনা আর বন্ধ্যাত্বের পেছনে কোন জেনেটিক সমস্যা আছে কিনা। পরবর্তিতিতে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হয়।
৫) Testicular biopsy:
অন্ডোকোষের একটা অংশ (অতি ক্ষুদ্র) কেটে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাতে পর্যাপ্ত পরিমান স্পার্ম কাউন্ট পাওয়া যায়। এরকম একটা পদ্ধতির নাম হল IVF । এই পদ্ধতিতে ডিম্বানু ও শুক্রানুকে ল্যাবে মিলন ঘটানো হয় ও পরে তা মাতার দেহে স্থাপন করা হয়। এটা সন্তান ধারণের সক্ষমতা ৪০% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম ।
৬) বিভিন্ন ধরনের হরমোন পরীক্ষা-
এই পদ্ধতি গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে একজন ইনফার্টাইল কাপন সন্তানের জন্ম দিতে পারে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আর অনেক ক্ষেত্রেই এই জিনিসটা জেনেটিক আবার অনেক ক্ষেত্রে আনহেলদি জীবন যাপনের কারণে হয়, তাই সুস্থ্য জীবনযাপন করা খুবই জরুরি। আর শুধু নারী বা পুরুষের দোষ দেয়া উচিত না কারণ একে এটা কোন সমস্যা না, একটা রোগ মাত্র, অনেক কারণেই হতে পারে তা ব্যাখ্যা করলাম। আর এসব ক্ষেত্রে মেল ও ফিমেল ফ্যাক্টর ও সেম।
বি.দ্র. এই পোস্টের উদ্দেশ্য কোনো মতেই কোনো রোগের চিকিৎসা দেয়া না বরং রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও ট্রিটমেন্ট নিয়ে জানানো যাতে মানুষ সচেতন হতে পারে। এ পোস্টে নেয়া তথ্য গুলো ক্রস চেক করা হয়েছে রেফারেন্সে দেয়া আর্টিকেল থেকে।
রেফারেন্স:
১.
https://rb.gy/rrvqi0
২.
https://rb.gy/zqnuc6
৩.
https://rb.gy/h8bv70
৪.
https://rb.gy/jz8nbn
৫.
https://rb.gy/lzkqa2
https://rb.gy/yjqahk
ছবিগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে।
For further reading :
IUI - https://rb.gy/odzkec
OI - https://rb.gy/lqmwyo
Treatment - https://rb.gy/hrpiam
IVF - https://rb.gy/w0h7yu
Cause - https://rb.gy/yjqahk
https://rb.gy/h8bv70
https://rb.gy/jz8nbn
মাহতাব মাহদী,
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান।