লেখক: মুহাম্মাদ নাঈমুর রহমান
ডিসক্লেইমার: এই লেখাটির উদ্দেশ্য শুধুই বিজ্ঞানের আলোকে মাস্টারবেশন এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা। এই আধুনিক যুগেও অনেকের কাছেই ব্যাপারটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে, তাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। কিন্তু দিনশেষ এটা একজনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি এটা করবেন কি করবেন না, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা। এর মাধ্যমে কাউকে মাস্টারবেশন করতে উৎসাহী কিংবা নিরুৎসাহী, কোনোটাই করার ইচ্ছে আমার নেই। আমার ইচ্ছে যাতে সবাই সঠিক একটা ধারণা পায়। আর আলোচনা করতে গিয়ে যৌনতা সম্পর্কিত বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে খোলাখুলি ভাবে বলতে হয়েছে। তাই যাদের যৌনশিক্ষার ব্যাপারে অভিযোগ, মতবিরোধ রয়েছে কিংবা যারা যৌনশিক্ষা কে চটি মনে করেন তাদের ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকায় তাদের এই লেখাটি না পড়ার জন্যই পরামর্শ থাকবে।
বয়স ১২ কি ১৩, জীবনে বয়ঃসন্ধি উকি দিচ্ছে কেবল। এমন সময় নিজের দেহে অদ্ভুত কিছু পরিবর্তন খেয়ালে আসে। শৈশবের অস্থিরতা চঞ্চলতা কে ছাপিয়ে কেমন একটু চাপা ব্যাক্তিত্বের আভাস। একটু ভিন্ন ধারার চিন্তা, ভিন্ন কিছু খুঁজে পাওয়া নিজের শরীরে, নিজের মনে। নিজের শরীরের গন্ধ ই অপরিচিত ঠেকে নিজের কাছে, হঠাৎ নতুন কিছু অনুভূতির আবিষ্কার হয় নিজের দেহে। শরীরের আনাচে কানাচে এক অদ্ভুত আবেশ খুঁজে পাওয়া, কিন্তু সেই সাথে কিছুটা সংশয় ও বটে। এতদিন শুধু রেচন অঙ্গ ভেবে আসা অঙ্গের জনন কাজের স্বরূপ উন্মোচন হওয়াতে একটু বিস্মিত, একটু ভীত। একটা সময় কেউ হয়তো "বিশেষজ্ঞ" (বিশেষ ভাবে অজ্ঞ) বন্ধুর কাছে দীক্ষা পেয়ে কিংবা কেউ কেউ হয়তো বড় মাপের আবিষ্কারকের মতই নিজের দেহে আবিষ্কার করে বসে অদ্ভুত আনন্দদায়ক এক ক্রীড়ার।
বলছিলাম মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন বা স্বমেহন নিয়ে। মোটামুটি এভাবেই আমাদের (ছেলেদের) জীবনে আগমন ঘটে এর (অন্তত আমাদের সময়ে), এর মাধ্যমেই শারীরিক ভাবে যৌনজীবনে প্রবেশ ঘটেছিল কোনো এক কালে। সেই থেকে শুরু, এরপর থেকে এই ক্রীড়া চলে একেবারে প্রৌঢ়, এমনকি বৃদ্ধ বয়স অব্দি। সব বয়সের পুরুষের মাঝে হস্ত মৈথুনের প্রবনতা দেখা গেলেও সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায় ১৪-২৪ বছর বয়সী ছেলেদের মাঝে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে বিয়ের পরে এর প্রবণতা কমে গেলেও একেবারে হারিয়ে যায় না এবং সেটা অস্বাভাবিক ও নয়। অন্যদিকে মেয়েরাও মাস্টারবেশন করলেও সংখ্যাটা ছেলেদের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই যে নিজের গোপন অঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করে মজা পান, তা কিন্তু না। ছোট বাচ্চাদের প্রায়ই নিজের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করতে দেখা যায়, অবশ্য তা কেবলই নিছক খেলাচ্ছলে, নিজের দেহ সম্পর্কে সাধারণ কৌতুহলতা বশত। একে প্রকৃত স্বমেহন বলা যায় না।
হস্তমৈথুনের ইতিহাস কিন্তু বেশ প্রাচীন। বিভিন্ন প্রাচীন দেয়াল লিখনেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তা সে যে কালের ই হোক না কেন, আসলে আমরা মাস্টারবেট করি কেন? করলে লাভ টাই বা কি?
লাভ বা উপকারের কথা বলতে গেলে অনেকের মাথায় প্রথমেই যে উত্তর টা আসে তা হল, "মাস্টারবেশন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে"। হ্যাঁ, কিছু গবেষণার ফলাফল তাই বলে। কিন্তু এটা নিয়ে controversy আছে। কিছু গবেষণা বলছে মূলত মাঝবয়সে নিয়মিত মাস্টারবেশন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, কম বয়সে না। তবে আমাদের এটাও মাথায় রাখা উচিত যে এসব গবেষণার ফলাফল মূলত দুইটি ঘটনার মাঝে statistically significant correlation, প্রকৃতপক্ষে মাস্টারবেশন কিভাবে প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কিংবা আদৌ করে কিনা তা এখনো কেউ বলতে পারে না। (Ref:১,২)
এর চাইতে আমরা বরং অন্য কিছু উপকারিতা জেনে নিই যার বাস্তবিক প্রয়োগ আছে।
মাস্টারবেশন এর শেষে অর্গাজম এর ফলে কিছু রিল্যাক্সিং হরমোন নিঃসরণ হয় (যেমন, Endorphin), যা আমাদের শরীর ও মনকে শান্ত করে, সাময়িক ভাবে স্ট্রেস থেকে মুক্ত করেসহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে (যাদের সহজে ঘুম আসে না তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করে এটা), মেয়েদের ক্ষেত্রে Endorphin, মেনস্ট্রুয়াল ক্রাম্প এর ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
স্বমেহন এর সাহায্যে নিজের জননাঙ্গ এবং তার সাথে সম্পর্কিত একান্ত ভালোলাগা ও খারাপ লাগার অনুভূতি গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হয়। এর ফলে পরবর্তীতে নিজের যৌণ সঙ্গীকেও নিজের ভালোলাগা গুলো ব্যাখ্যা করা সহজ হয় এবং এই ব্যাপারটি মেয়েদের জন্য অধিক সত্য। বিবাহিত কাপলদের মাঝে Intimacy বাড়ানোর ভালো একটি উপায় হতে পারে Mutual masturbation.
ছেলেরা মাস্টারবেশন এর সাহায্যে নিজের সেনসেশন (sensation) এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে যা পরবর্তীতে পুরুষদের একটি কমন সমস্যা, Premature ejaculation (P.E.) বা দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে পারে। Premature ejaculation এর চিকিৎসার অন্যতম একটি উপায় হল বিভিন্ন Guided masturbation techniques. (Source: Textbook of clinical sexology)
এছাড়া, হস্তমৈথুন এর ফলে পুরনো, জমে থাকা অচল (Immotile) স্পার্ম বেরিয়ে গিয়ে নতুন স্পার্ম তৈরি হয়। আচ্ছা সেটা নহয় হলো, কিন্তু যে বিয়েই করে নাই তার জন্য সচল আর অচল স্পার্ম কি!? কোনো টা দিয়েই তার আপাতত কোনো কাজ নাই। আর তাছাড়া কেউ মাস্টারবেট করার সময় প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ হল কিনা কিংবা স্পার্ম এর হাল কি হবে- এসব ভেবে করে না।
তাহলে সেই প্রশ্ন রয়েই গেল যে আমরা মাস্টারবেট করি কেন আসলে? সহজ উত্তর হলো, "আমাদের ভালো লাগে, তাই"।
মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী মূলত সেক্স করে প্রজননের জন্য। কিন্তু মানুষ প্রজনন এর ইচ্ছা ছাড়াও সেক্স করে। কেন? কারণ ঐ একই। It is one of the most pleasurable thing to do in life (if not 'the most'). এখন সামাজিক রীতিনীতি কিংবা অন্য কোনো কারণে সবসময় আমাদের কাছে যৌণ ক্ষুধা মেটানোর জন্য কোনো সঙ্গী থাকে না। সেক্ষেত্রে সবচাইতে সুলভ ও নিরাপদ বিকল্প হল "মাস্টারবেশন"। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত আর কি।
কিন্তু হস্তমৈথুন কি আসলেই নিরাপদ? কতটা নিরাপদ? এর কি কোনো ক্ষতিকর দিক নেই?
এর উত্তর দেবার আগে কিছু সাধারণ কথা বলে নেই, ঠিক মত খুঁজলে অনেক ভালো কাজেরও ক্ষতিকর দিক বের করা সম্ভব আবার অনেক ক্ষতিকর কাজেরও উপকারী দিক বের করা সম্ভব। আর অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না, সেটা যত ভালো কাজই হোক না কেন এবং মাস্টারবেশন ও এর বাইরে না। তবে ক্ষতিকর দিক গুলো বলার আগে আমাদের জানতে হবে কোনগুলো আসলে ক্ষতিকর প্রভাব নয়, কারণ মাস্টারবেশন এর সাথে অনেক অনেক ভুল ধারণা জড়িত আছে। সেই কিশোর বয়স থেকে নানান মানুষের কাছ থেকে নানান রকমের ভুলভাল কথা শুনে আসছি। আপাতত আমার মাথায় যেগুলো আসে সেগুলোই উল্লেখ করছি,
- মাস্টারবেশন করলে শরীর দূর্বল হয়ে যায়
- শরীর শুকিয়ে যায়
-ক্ষুধামন্দা হয়
-মেধা কমে যায়
-দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
-মুখে ব্রণ ওঠে
-যৌনশক্তি কমে যায়
- প্ৰজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়
-ঘুম কমে যায় কিংবা সারাদিন ঘুম ঘুম লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি (আর কিছু মনে পড়ছে না আপাতত, কারো অন্য কিছু জানা থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন)
ভাই, এগুলা সব ভুয়া কথা, সব। দয়া করে এগুলা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মাস্টারবেট নিজে যা ক্ষতি করবে আপনার, তার চাইতে বেশি ক্ষতি করবে এসব গাঁজাখুরি ধারণা।
অর্গাজম এর পর সাময়িক কিছুটা অবসাদ অনুভব হয় তবে সেটা রিলাক্সিং হরমোনের প্রভাবে আর কিছুটা আপনার মনের ভুল ধারণার প্রভাবে, প্রকৃত দুর্বলতা নয়। এই অনুভূতি আপনার প্রকৃত সেক্স করলেও হবে। তাহলে কি সেক্স করলেও শরীর দুর্বল হয়ে যাবে? অনেকে বলে যে মাস্টারবেট না করলে তারা নিজেদের শরীরে বেশি "এনার্জি ফিল" করেন। এই এনার্জি যে কোন এনার্জি, তা আমার জানা নাই। "এক ফোঁটা বীর্য ৭০ ফোঁটা রক্তের সমতুল্য" এমন কোনো কথারও ভিত্তি নেই। হ্যা, স্পার্ম তৈরি করতে শরীরের কিছু শক্তি খরচ হয়, কিন্তু সেটা যেকোনো কিছু তৈরিতেই খরচ হয়, শুধু রক্ত কিংবা বীর্য না। এবং এর পরিমাণ ও আহামরি কিছু না। এখানে সেক্স এবং ফিজিক্যাল এনার্জি নিয়ে আরেকটি ভুল ধারণা নিয়ে একটু বলি। অনেক "আপনি জানেন কি" টাইপের পেজ এ কিছু পোস্ট এ দেখেছি যে তারা দাবি করছে সেক্স করলে এত এত ক্যালরি শক্তি ব্যয় হয়, যা এত ঘন্টা শরীরচর্চা করার সমান। আসলে সেক্স করতে কিছু শক্তি ব্যয় হলেও সেটা কোনো ক্রমেই শারীরিক পরিশ্রমের পরিপূরক নয়। এখন চিন্তা করেন, আসল যৌনক্রীড়ার ক্ষেত্রেই যদি এমন হয় তাহলে "মাস্টারবেট করে আপনার শক্তি শেষ হয়ে যাবে" ভাবাটা বাতুলতা ছাড়া আর কি!?
আমাদের সাথে যে দুইটা ছেলে সবচেয়ে বেশি দ্রুত বল করতো (একজন বিভাগীয় পর্যায়েও খেলেছে) দুজনেই মাস্টারবেট করতো। সবচেয়ে সুদর্শন ও সবচেয়ে ভারী স্বাস্থ্যের অধিকারী ছেলে দুজন ও করতো। আবার এমন ছেলেকেও দেখেছি যে খুবই রক্ষণশীল, কখনো মাস্টারবেট করে না, অথচ ওজন ৫০এর কম। ক্লাসের ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ স্টুডেন্ট ও ধুমসে মাস্টারবেট করছে সেই বয়সে, আবার পরীক্ষার সময় সেভাবেই ধুমসে প্রতিযোগিতা করছে। এসব বোঝার জন্য রিসার্চ পেপার লাগে না, একটু চোখ কান খুলে চারপাশে তাকিয়ে নিজের কমন সেন্স টা কাজে লাগালেই হয়। (But common sense is a rare sense)
ফিজিওলজি সম্পর্কে যার নূন্যতম ধারণা আছে সে ব্রণ আর দৃষ্টশক্তির কথা শুনলে হেসে কুটি কুটি হবে। প্রচলিত ভাষায় "যৌনশক্তি" আর "জননশক্তি" বলতে আসলে কি বোঝায় তাও আসলে পরিষ্কার না। তবে এ ব্যাপারে নিচে আরো বিশদ আলোচনা আছে। আর আগেই বলা হয়েছে, অর্গাজম ঘুমাতে সাহায্য করে। এখন আপনি যদি রাত জেগে মাস্টারবেট করেন তো দিনে ঘুম ঘুম লাগতেই পারে, কিন্তু সেটা রাত জেগে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই সত্যি। রাত জেগে মুভি দেখলেও দিনে ঘুম ঘুম লাগতে পরে, রাত জেগে পড়াশুনা করলেও লাগতে পারে।
এ তো গেল আগের যুগের মিথ, এবারে বর্তমান যুগের কিছু ভুল ধারনা খোলাসা করি।
এসব ভুল ধারণার উৎপত্তি মূলত বিভিন্ন রিসার্চ পেপার এর ভুল, বিকৃত কিংবা আংশিক উপস্থাপনার কারণে।
যেমন, মাস্টারবেট করলে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়, স্পার্ম বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়, বীর্য পাতলা হয়ে যায়/পরিমাণে কমে যায়। এ ব্যাপারে এক কথায় যদি কিছু বলতে চাই তা হলো,"এই পরিবর্তন গুলো আসলেই ঘটে কিন্তু এর কোনোটাই স্থায়ী কোনো পরিবর্তন নয়"।
একটা একটা করে ব্যাখ্যা করছি।
প্রথমেই আসি টেস্টোস্টেরন এর কথায়
একটা ছেলে মূলত "ছেলে" হয় টেস্টোস্টেরন এর প্রভাবে। মাস্টারবেট করলে সেই টেস্টোস্টেরন ই কমে যায় শরীরে! কি ভয়ংকর কথা!! টেস্টোস্টেরন না থাকলে তো তাহলে পুরুষ পুরুষই থাকবে না!!! ভাই থামেন, আগেই তিলকে তাল না বানাই, দেখি মূল গবেষণা কি বলে। গবেষণায় যেটা উঠে এসেছে তা হল, একটানা ejaculation বা বীর্যপাত করা থেকে বিরত থাকলে ৭ম দিনে শরীরে টেস্টোস্টেরন এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধি কিন্তু খুব একটা gradual না, হুট করেই বেড়ে যায়। কেন? কোন কারণ জানা নাই। অন্যদিকে যারা এই ৭দিনের মধ্যে এক বা একাধিক বার হস্তমৈথুন করে কিংবা প্রকৃত সেক্স করে ejaculation করেছে তাদের এই টেস্টোস্টেরন এর বৃদ্ধি টা হয় না। ব্যাস এইটুকুই, এর মানে এই না যে সারাজীবনের জন্য আপনার দেহ থেকে টেস্টোস্টেরন কমে গেছে। একটানা কিছুদিন বীর্যপাত করা থেকে বিরত থাকলে মোটামুটি ৭দিনের আশেপাশে যে কারো টেস্টোস্টেরন এর এই peak হবার কথা। মজার ব্যাপার হলো ৭ম দিনে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়লেও ৮ম দিনে হুট করে আবার সেটা স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে, আবারো কোনো লক্ষণীয় কারণ ছাড়াই। ফলে যে ৮দিন ধরে ejaculation না করে আছে আর যে ৩দিন না করে আছে তাদের টেস্টোস্টেরন এর পরিমাণে খুব একটা তারতম্য আর থাকে না। এখন সেই একদিনের testosterone peak দিয়ে আপনি কি করবেন সেটা আমার জানা নাই। (Ref: 3)
মজার ব্যাপার আরো আছে, অবিবাহিতদের চাইতে বিবাহিত পুরুষের টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কম থাকে, সুখী দাম্পত্য জীবনে থাকা পুরুষদের তো আরো কম থাকে। তাই বলে এখন কি টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা ধরে রাখতে অবিবাহিত থাকতে হবে সারাজীবন? (Ref: 4)
এবারে আসি স্পার্মের ব্যাপার নিয়ে
অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে বারবার ejaculation করলে মনে হয় স্পার্মের সংখ্যা স্থায়ী ভাবে কমে যাবে। কিন্তু মেয়েদের ডিম্বাণুর সংখ্যা যেমন নির্দিষ্ট, ছেলেদের স্পার্মের সংখ্যা কিন্তু ওভাবে নির্দিষ্ট করা নেই। জনন মাতৃকোষ ও টেস্টোস্টেরন যতদিন ঠিকঠাক আছে ততদিন আপনার দেহে স্পার্ম তৈরি হতেই থাকবে। মোটামুটি ৭দিন বীর্যপাত বন্ধ রাখলে বীর্যের পরিমাণ ও স্পার্মের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় এ কথা সত্যি। কিন্তু তারমানে এই না যে মাস্টারবেট করলে সারাজীবনের জন্য আপনার শরীর থেকে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাবে। অন্যদিকে ৭দিন পর বীর্যের পরিমাণ যেই হারে বৃদ্ধি হয়, স্পার্ম এর সংখ্যা বৃদ্ধি সেই হারে হয় না, তুলনামূলক কিছুটা কম হয়। ফলে sperm concentration যায় কমে (স্পার্ম, semen বা বীর্যের একটি উপাদান, দুইটা একেই কথা না)। অপরদিকে ৭দিনের পর স্পার্মের কোয়ালিটি (motility, morphology, semen viscosity) উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। তাহলে ব্যাপারটা দাড়ালো কি? ৭দিনের বেশি সময় ধরে semen জমিয়ে রেখে মূল্যবান স্পার্ম সংরক্ষণ করলেন কিন্তু সেগুলো কোনো কাজের না! (Ref: 4) এই অকেজো স্পার্ম কিছু ভেঙে গিয়ে উপাদান সমূহ পরবর্তীতে কাচামাল হিসেবে পুনরায় ব্যবহৃত হয় শরীরে আর কিছু স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। সব মিলিয়ে তাই বলা যায় মাস্টারবেট করে ejaculate করলে পরবর্তী জীবনে শুক্রাণুর ঘাটতি হবে এটা যেমন অমূলক ভাবনা, তেমনি অনেকদিন বীর্য ধরে রাখলে যে শরীরে খুব উপকার হবে সেটাও অবান্তর চিন্তা।
"আচ্ছা, এই যে এত গুনগান করছেন, এর কি কোন খারাপ দিক নাই বলতে চান?"
এর উত্তর আগেই দিয়েছি, যেকোনো কিছুরই খারাপ দিক থাকতে পারে। মাস্টারবেশন ও এর ব্যতিক্রম নয়। আজে বাজে ধারণা থেকে বের হয়ে এবার তবে সত্যিকারের কিছু ঝুঁকির কথা বলি।
(১) যৌনমানসিক সমস্যা:
এটা সরাসরি মাস্টারবেশন এর কুফল না, বরং হস্তমৈথুন নিয়ে ভুল ধারণার কুফল। "আমি তো যৌবন আগেই শেষ করে ফেলেছি, এখন আমার কি হবে!" "বিয়ের পর তো কিছুই করতে পারবো না"- কিশোর বয়স থেকেই যদি মনের মধ্যে কেউ এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে বেড়ে ওঠে তবে তার ফলাফল ভালো হয় না। মানসিক এই ভয় নিজের অজান্তেই শারীরিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। নারী ও পুরুষ উভয়ের বিভিন্ন যৌণ সমস্যার একটা বড় উৎস হচ্ছে তার 'মন'। আর এ কারণেই যৌণ বিষয়ক ভুল ধারণা দূর করে সঠিক নূন্যতম জ্ঞান থাকা টা জরুরি।
(২) Erectile dysfunction (E.D.):
এবারে একটু জটিল ও বিতর্কিত বিষয়ে যাই। বর্তমানে মাস্টারবেশন এর সবচে মারাত্মক কুফল হিসেবে বিবেচিত হয় লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা বা erectile dysfunction। এটা কিভাবে হয় তার ও খুব সুন্দর ব্যাখ্যা বিভিন্ন পোস্ট এ দেখা যায়। সেটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে যে আমাদের যেকোনো যৌণ ক্রিয়ার কিছু Basic Step আছে; যেমন,
Stimuli (যৌণ উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কিছু)=> Erection => Act of sex (either partnered or solo) => emission => Orgasm with ejacualtion => Feeling of reward because of dopamin
যখন যৌণ উত্তেজক কিছু ব্যবহার করে (যেমন পর্ণ) আমরা বারবার মাস্টারবেট করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক সেই উত্তেজনার উৎসের প্রতি একরকম conditioned হয়ে পড়ে। ফলে পরবর্তীতে প্রকৃত উত্তেজনার (প্রকৃত সঙ্গীর দর্শন, স্পর্শ, ঘ্রাণ ইত্যাদি) প্রতি আমাদের মস্তিষ্ক আর ঠিকভাবে সাড়া দিতে পারে না। আর মস্তিষ্ক সাড়া না দিলে erection ও সম্ভব না। ফলে দেখা দেয় erectile dysfunction। এটা classical conditioning এর একটা উদাহরণ। শুধু পর্ণ, মাস্টারবেশন না, যেকোনো কিছুর প্রতি, যেখানে আমাদের reward সিস্টেম বা ডোপামিন জড়িত আছে, সেসব ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। যেকোনো কাজের পরে যখন ব্রেইন reward হরমোন (আসলে নিউরোট্রান্সমিটার) ডোপামিন পায়, তখন আরো ডোপামিন পাবার জন্য ব্রেইন বারবার ওই কাজ টি করতে চায়।
এই ধারণার প্রচারণা শুরু হয় মূলত 'yourbrainonporn.com' নামক ওয়েবসাইট এর পরিচালক Gary wilson এর মাধ্যমে। ইউটিউবে তার এই টপিকের উপর একটি Tedtalk এর ভিডিও রয়েছে যা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু ঐ ভিডিওর description বক্সেই উল্লেখ করা আছে যে তার সব দাবি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত নয় এবং বিতর্কিত।
যদিও classical conditioning কোনো অবৈজ্ঞানিক ধারণা নয়, কিন্তু পর্ণ ও মাস্টারবেশন দ্বৈত ভাবে আসলেই E.D. করে কিনা এ নিয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট ও সেক্সোলজিস্ট দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। আমি নিজেও journal of sexual medicine এ, এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোনো পেপার পাইনি, বরং তার উল্টোটাই পেয়েছি। (Ref: 6)
পর্ণ নিয়ে বলতে গেলে পুরো আরেকটি লেখা লাগবে, তাই মতবিরোধে না গিয়ে আপাতত তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই পর্ণ থেকে erectile dysfunction হয়, তবুও এটা প্রমাণ হয় না যে শুধু মাস্টারবেশন থেকে E.D. হতে পারে। এ কথা nofap কমিউনিটির গুরু Gary wilson ও বলেনি। সমস্যা হয় মূলত পর্ণ এর অবাস্তব, distorted reality এর উপর মাস্টারবেশন তথা erction নির্ভরশীল হয়ে গেলে। তাই প্রতিনিয়ত অবাস্তব পর্ণ এর উত্তাজনা থেকে erection ঘটালে পরবর্তীতে E.D. হবার একটা সম্ভাবনা রয়ে যায়।
যারা এটুকু পরে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন তাদেরকে বলছি, খুব বেশি ভয় পাবার কিছু নেই। এটাও স্থায়ী কোনো সমস্যা না, কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস চেষ্টা করলে এ সমস্যা দুর করা সম্ভব। আর নিজের যৌনানুভূতি পর্ণ এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল করে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। Erectile dysfunction এর অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে controversial একটা কারণ হলো porn dependency. তাই কেউ যদি মনে করেন তার ED আছে, তবে নিজে নিজে ইন্টারনেট ঘেঁটে কিংবা মানুষের কথা শুনে আকাশকুসুম না ভেবে বরং একজন psycho-sexologist এর শরণাপন্ন হন।
(৩) Masturbation addiction and Hypersexuality:
যদিও সরাসরি excessive masturbation বলতে কোনো রোগ নেই, তবে কারো কারো মাঝে ভিডিও গেমসের আসক্তির মত হস্তমৈথুনেও addictive behaviour দেখা যায়। এ ধরনের আসক্তিকে Hypersexuality বা Hypersexual behaviour এর একটি লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তবে ঠিক কি কারণে hypersexuality তৈরি হয় তা এখনো সঠিক জানা যায়নি।
কিন্তু কখন বুঝবো যে কারো মাঝে hypersexual behaviour এর সৃষ্টি হয়েছে?
Hypersexual behaviour এর লক্ষণ হল, দিনের বেশিরভাগ সময় যৌনতা নিয়ে ভাবা, যৌণ উত্তেজক বিষয়ে ডুবে থাকা, একাধিক বার মাস্টারবেশন করা কিংবা সেক্স করা বা করতে চাওয়া এবং এ সকল চিন্তা ভাবনা ও কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজে বাধার সৃষ্টি হওয়া (নিচে বই থেকে স্ক্রীনশট দেয়া আছে)। এ ধরনের লক্ষণ যদি ৬মাস বা তার অধিক সময় ধরে কারো মাঝে থাকে তবে তাকে Hypersexuality বলা যায়। তবে কারো যদি সমস্যা খুব প্রকট হয় তবে ৬মাস অপেক্ষা না করে তার উচিত একজন psycho-sexologist এর পরামর্শ নেয়া।
এখানে ছোট্ট করে আরেকটি খুব কমন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলি। প্রশ্নটা হল,
সপ্তাহে কতবার মাস্টারবেট করা স্বাভাবিক?
আসলে এর কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। যে সংখ্যা আপনার দৈনন্দিন কাজে কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না সেটাই স্বাভাবিক। সেটা হতে পারে ১বার, ২বার কিংবা ৭বার। কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি সর্বক্ষণ এই নিয়েই আছেন; যখন পড়ার দরকার তখন পড়া হচ্ছে না, খেলাধুলা হচ্ছে না, সময়মত কলেজ কিংবা অফিসের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে পারছেন না, কোনো কাজই ঠিকমত করা সম্ভব হচ্ছেনা যৌণ চিন্তা ও কর্মের কারণে, তখন সেটা অবশ্যই অস্বাভাবিক।
(৪) যৌনানুভূতি কমে যাওয়া:
অনেকের মাঝে প্রচলিত আরো একটি ভুল ধারণা হলো, "মাস্টারবেট করলে পরে প্রকৃত সেক্স আর ভালো লাগবে না"। আপনি খুব বেশি পর্ণ আসক্ত না হলে ঘি রেখে ডালডা ভালো লাগার কোনো কারণ নাই। কোনো রকম সমস্যা না থাকার পরেও যারা এমন মনোভাব পোষণ করে আমার মতে তারা কখনো প্রকৃত যৌনতার স্বাদ অনুভব করেনি, নাহলে এই দুইয়ের মধ্যে এমন তুলনা করতো না। তবে হ্যা, কিছু ক্ষেত্রে আসলেই সমস্যা হতে পারে, যেমন
বারবার একেই ভঙ্গিতে মাস্টারবেট করলে পরবর্তীতে অন্য ভঙ্গিতে অনুভূতি কম হতে পারে।
বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি যেমন, যথেষ্ট লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার না করা, খুব জোড়ে চাপ প্রয়োগ করা, অমসৃণ কিছুতে ঘর্ষণ করা এসবের জন্য অনুভূতি কমে যেতে পারে এমনকি স্কিন এর ক্ষতি ও হতে পারে।
(৫) Premature ejaculation (PE):
হ্যা, মাস্টারবেশন যেমন premature ejaculation ঠিক করতে ব্যবহার হয় আবার উল্টোভাবে ভুল টেকনিকের জন্য মাস্টারবেশন থেকেও PE এর সমস্যা তৈরি হতে পারে। সাধারণত হস্তমৈথুন করার সময় সবার মাঝেই তাড়াতাড়ি "কাজ সারার" একটা প্রবণতা থাকে। দীর্ঘদিন এই প্রবণতা নিয়ে মাস্টারবেট করতে থাকলে একসময় মস্তিষ্কে দ্রুত বীর্যপাত করার প্রবণতা তৈরি হয় যা থেকে পরবর্তীতে PE দেখা দিতে পারে।
মোটামুটি ভাবে এগুলোই মাস্টারবেশন এর কুফল।
পরিশেষ ৩ ধরনের ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে সারমর্ম,
(১) "যত যাই হোক, আমি এসব করতে চাইনা"। এটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত একটি ব্যাপার। আপনি আপনার চাহিদা চেপে রেখে যদি হস্তমৈথুন না করে থাকতে চান তবে কোনো সমস্যা নেই এতে।
(২) আপনি যদি পর্ণ আসক্ত না হয়ে, নিজের পড়াশুনা বা কাজের ক্ষতি না করে এবং ঝুঁকি গুলোর কথা মাথায় রেখে পরিমিত পরিমাণে মাস্টারবেট করতে চান তবে বিজ্ঞান অনুযায়ী আপনার তেমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
(৩) আপনি যদি ইতোমধ্যে অতিমাত্রায় হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে থাকেন কিংবা নিজের মধ্যে hypersexual behaviour লক্ষ্য করে থাকেন তবে আপনার উচিত এর ওর আজেবাজে কথায় কান না দিয়ে একজন psycho-sexologist এর শরণাপন্ন হওয়া। এটা চিরস্থায়ী কোনো রোগ না, একটু চেষ্টা করলেই এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
ধন্যবাদ।
পুনশ্চ -১: লেখাটি মূলত গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে পড়া বিভিন্ন আর্টিকেল, A textbook of clinical sexual medicine (Waguih, Willium and IsHak) এবং নিজের ও পরিচিত অনেকের বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে তৈরি। নিচে শুধুমাত্র সহজবোধ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে। উৎসাহী কেউ আরো কোনো তথ্য পেতে চাইলে আহ্বান থাকবে প্রথমে The Journal of Sexual Medicine এ খোঁজার।
পুনশ্চ -২: অনেকে বলেন যে, "মাস্টারবেশন যেহেতু প্রাকৃতিক না, কৃত্রিম, তাই এটা ভালো কিছু হতে পারে না"। ছোট্ট করে এখানে উত্তর টা দিয়ে দেই। মাস্টারবেশন মোটেও "কৃত্রিম" না, বরং প্রাকৃতিক। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কৃত্রিম, কিন্তু কোনো জিনিস প্রাকৃতিক নাকি কৃত্রিম শুধু তার উপর ভিত্তি করে ভালো না খারাপ এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা এক ধরনের যুক্তির ভুল, যাকে বলে naturalistic fallacy। প্রাকৃতিক অনেক কিছুই খারাপ হতে পারে (যেমন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বিভিন্ন রোগ), আবার কৃত্রিম অনেক কিছুই আমাদের জন্য ভালো (যেমন, ওষুধ, ভ্যাকসিন)।
পুনশ্চ -৩: বয়সন্ধিকালে হরমোনাল চেঞ্জ এর কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। ব্রণ এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন গুলো এ কারণেই হয়। একেই সাথে আমাদের মাঝে যৌণ প্রবণতা তৈরি হয়। তাই আপাত দৃষ্টিতে হঠাৎ করে আবির্ভাব হওয়া মাস্টারবেশন নামক অভ্যাস কে ঐ সকল পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা হয়। আসলে বয়সন্ধিকাল নিজেই মূলত মাস্টারবেশন, ব্রণ এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী। এটি Third cause fallacy বা fallacy of common cause এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আগ্রহীরা Causation and correlation নিয়ে একটু পড়তে পারেন পরিষ্কার ধারণা পাবার জন্য। উইকিপিডিয়া তেই যথেষ্ট ভালোভাবে আছে।
Reference:
1. https://www.health.harvard.edu/mens-health/ejaculation_frequency_and_prostate_cancer
2. https://www.webmd.com/prostate-cancer/ejaculation-prostate-cancer-risk
3. http://www.jzus.zju.edu.cn/article.php?doi=10.1631/jzus.2003.0236
4. https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=http://www.ijwhr.net/pdf.php%3Fid%3D183&ved=2ahUKEwiQqs2J1OLrAhVQfSsKHUUdDVUQFjACegQIAhAB&usg=AOvVaw0J0erLmv6t8VrGMDyf4neK&cshid=1599880798740
5. https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5714597/
6. https://www.jsm.jsexmed.org/article/S1743-6095(18)31285-2/fulltext