লেখকঃ কাইফ রহমান
আমরা সবাই টিয়ার গ্যাসের নাম শুনেছি। এটি সাধারণত কোন বিক্ষোভকে ভাঙতে পুলিশেরা ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে টিয়ার গ্যাস আসলে গ্যাস না। এটি আসলে কতগুলো তরল অথবা কঠিন পদার্থের যৌগের সংমিশ্রণ যা সিলিন্ডারে উচ্চচাপের মধ্যে রাখা হয়। যখন এটি ছাড়া হয় তখন কুয়াশার মতো পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের ইল্যুশন হয়। অর্থাৎ আমাদের মনে হয় এটি গ্যাস।
সাধারণত CS
gas(2-chlorobenzalmalononitrile),CR(dibenzoxazepine) gas টিয়ার গ্যাসে ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাস গুলোর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এরা ইলেকট্রনকে ভালোবাসে অর্থাৎ ইলেকট্রোফিলিক। এরা আমাদের দেহের একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন TRPA 1 রিসেপ্টরের কাছ থেকে ইলেকট্রন নিয়ে থাকে। এই রিসেপ্টরটি আমাদের স্নায়ু কোষসহ সারাদেহের কোষে থাকে। বাইরের কোন কেমিক্যাল নার্ভ সেলে আসলে, নার্ভ সেল ব্রেইনকে সেটা জানিয়ে দেয়।তাই যখন চোখে টিয়ার গ্যাস যায় তখন নার্ভ সেল জ্বালা পোড়ার মাধ্যমে ব্রেইনকে সিগনাল দিয়ে থাকে। ফলে ব্রেইনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে টিয়ার গ্ল্যান্ড থেকে পানি বের হয়। এছাড়াও টিয়ার গ্যাস আমাদের নাকে,গলায়, ফুসফুসে অস্বস্তি সৃষ্টি করে। যার ফলে সাময়িক সময়ের জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে, কাশি হতে পারে। নাক,চোখ ছাড়াও টিয়ার গ্যাস আমাদের ত্বকের ছিদ্রসমূহ তে ঢুকে যায়। এতে করে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে।
তথ্যসূত্র:
১.https://youtu.be/-1cHf3qHIrg
২.https://youtu.be/jHGrvL78mUA
কাইফ রহমান
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান।